সবুজদেশ ডেস্কঃ

লাদাখের পেট্রোলিং পয়েন্ট (পিপি) ১৪-এর কাছে ফের ভারতীয় এলাকা দখলের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে।

তবে লাদাখের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টার ফল চীনকে ভুগতে হতে পারে বলে হুশিয়ার দিয়েছে ভারত।

ভারতের সেনা সূত্রের বরাতে শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, নতুন পরিকাঠামো তৈরি না করলেও পয়েন্ট ১৪-সহ গোটা এলাকায় চীনা সেনার উপস্থিতির কারণে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০, ১১, ১১-এ, ১২ এবং ১৩-এ পৌঁছাতে পারছে না ভারতীয় সেনারা।

গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় পিপি-১৪-এ চীনা সেনা পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা করায় দুপক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। গুরুতর জখম হয় আরও ৭৬ জন ভারতীয় সেনা।

ওই ঘটনার পর চীনা বাহিনী পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে সরে যায়। কিন্তু গত ১০ দিনের মধ্যে সেখানে ফের ঘাঁটি গেড়েছে চীনা সেনা।

সেনা সূত্রের বরাতে আননন্দবাজার পত্রিকা আরও জানায়, বর্তমানে পিপি-১৪ এর কাছে বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে ফলেছে চীনারা। যার মধ্যে পড়েছে বটল-নেক পয়েন্ট বা ওয়াই জংশন পেট্রোলিং পয়েন্ট, ভারতের মধ্যে হলেও যা বর্তমানে চীনের দখলে।

ওই ওয়াই জংশন পয়েন্ট থেকেই পিপি ১০, ১১, ১১এ, ১২ ও ১৩ যাওয়ার রাস্তা। কিন্তু চীনা সেনারা বসে থাকায় আপাতত সেই এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না ভারতীয় সেনা। এর ফলে কয়েকশ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি বন্ধ রাখতে হয়েছে ভারতকে।

ওয়াই জংশন পয়েন্টটি থেকে লাদাখের ব্রুটসে ভারতীয় সেনার ছাউনি ৭ কিলোমিটার দূরে এবং ওই শহরের ওপর দিয়ে চলে গিয়েছে দারবুক-শাইয়োক-দৌলত বেগ ওল্ডি সড়ক, যা চীনের মাথাব্যথার কারণ। বছর দশেক আগেও চীনারা এক বার ব্রুটস পর্যন্ত ঢুকে আসে।

এ দিকে দুদিনের সফর শেষে দিল্লি ফিরে শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন সেনাপ্রধান এম এম নরবণে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে রাজনাথের।

চীনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্রি বলেন, পূর্ব লাদাখে সমস্যা মেটানোর পথ একটাই। বেইজিংকে বুঝতে হবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা হলে তার ফলও ভুগতে হবে। ভারতীয় বাহিনীর স্বাভাবিক টহলদারির পথে বাধা দেয়া বন্ধ হলেই সমস্যা মেটানোর পথে হাঁটা সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here