চুয়াডাঙ্গাঃ
চুয়াডাঙ্গায় বলাৎকার ঢাকতে ছাত্র আবির হুসাইনকে (১১) গলা কেটে হত্যার পর মাথা আর ধড় পৃথক স্থানে রাখেন মাদ্রাসার সুপার মুফতি আবু হানিফ।
লাশ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় দায়ের মামলায় আবু হানিফকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ঘটনার দিন গত ২৩ জুলাই থেকে তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। এ ঘটনায় বাকি চার শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান শুক্রবার বিকেলে জানান, বলাৎকারের ঘটনা যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্যই আবিরকে পরিকল্পিতভাবে গলাটিপে হত্যা করা হয়। আর ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে কৌশলে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়ান জামায়াতের কর্মী আবু হানিফ।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবিরকে বেশ কিছুদিন বলাৎকার করে আসছিলেন মাদ্রাসার সুপার আবু হানিফ। বিষয়টি সে অন্যদের জানিয়ে দেয়ার কথা বললে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
এরই অংশ হিসেবে মাদ্রাসার অদূরে একটি আম বাগানে নিয়ে গলাটিপে আবিরকে হত্যা করেন আবু হানিফ। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হুসাইন মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হয়।
পরদিন সকালে মাদ্রাসার অদূরে একটি আম বাগানের ভেতর থেকে তার ধড় উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পরই গোটা এলাকায় ‘ছেলেধরা’ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে গতকাল বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার অদূরে একটি পুকুরের ভেতর থেকে আবিরের মাথা উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ঘটনার দিনই মাদ্রাসার সুপার মুফতি আবু হানিফসহ ৫ শিক্ষককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।