আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধিকাংশ দেশের প্রধানরা। তবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এখনো অভিনন্দন জানাননি।

সরকারি ভাবে এখনো ফলাফল ঘোষণা হয়নি। কিন্তু পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে জো বাইডেন হচ্ছেন, তা মোটামুটি পরিষ্কার। ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছেন। সেখানে সাংঘাতিক কিছু ঘটে না গেলে, আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসই পরবর্তী শাসক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করবেন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রধান এর মধ্যেই বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেউ টুইট করেছেন। কেউ সরাসরি ফোন করে বাইডেনকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। কিন্তু গত চার বছরে ট্রাম্পের অতি বন্ধু হয়েছিলেন যে রাষ্ট্রনেতারা, তাদের অনেকেই এখনো সৌজন্যমূলক শুভেচ্ছাবার্তাটুকুও বাইডেনকে জানাননি।

ভ্লাদিমির পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালোই ছিল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্প কখনো কিছু বলেননি, এমন নয়। কিন্তু সরাসরি পুতিনকে কখনো আক্রমণ করেননি তিনি। পুতিনও ট্রাম্পের বিষয়ে কখনো আক্রমণাত্মক অবস্থান নেননি। অন্য দিকে, জো বাইডেন আগেই বলেছেন, আমেরিকার সব চেয়ে বড় শত্রু রাশিয়া। ফলে ক্ষমতায় এলে রাশিয়ার বিষয়ে বাইডেন যে কড়া হতে পারেন, তা অনেকেই অনুমান করছেন। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনকে এখনো পর্যন্ত শুভেচ্ছা জানাননি পুতিন। ক্রেমলিনের বক্তব্য, সরকারি ভাবে ফলাফল জানার পরেই শুভেচ্ছা জানানো হবে।

জাইয়া বলসোনারো

তাকে বলা হয় লাতিন আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে বরাবরই তার যোগাযোগ ভালো। কাজ কর্মেও তিনি ট্রাম্পের মতোই। অতি ডানপন্থী ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইয়া বলসোনারো এখনো পর্যন্ত বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানাননি। বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময় বলসোনারোর সঙ্গে তার বিতর্ক হয়েছিল। আমাজন বাঁচানোর বিষয় কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন বাইডেন। বলসোনারো তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

শি জিনপিং

২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার পরেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। কিন্তু বাইডেনকে এখনো পর্যন্ত শুভেচ্ছা জানাননি তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। বাইডেনের আমলে তার সামান্য উন্নতি হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। কিন্তু চীন কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

বেজিংয়ের বক্তব্য, সরকারি ভাবে ফল ঘোষণার পরেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হবে। মার্কিন আইনকে ট্রাম্প কী ভাবে ব্যবহার করেন, সে দিকে বেইজিং লক্ষ্য রেখেছে।

কিম জং উন

বাকি বিশ্বের সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগ নেই। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে কিম জং উন বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন এখনো শুভেচ্ছা জানাননি বাইডেনকে। তবে ২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার দুই দিনের মধ্যে তার কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন কিম জং উন।

হানেজ হানসা

স্লোভানিয়ার প্রধানমন্ত্রী হানেজ হানসা আরো এক কাঠি ওপরে। বাইডেন নয়, ট্রাম্পকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন ভোট গণনা চলাকালীনই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। ট্রাম্প ভোট কারচুপির যা যা অভিযোগ করছেন, স্লোভানিয়ার প্রধানমন্ত্রীও সেই একই অভিযোগ করেছেন। সরাসরি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পই তার পছন্দ।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস দুইজনকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভালো ফলের জন্য। কিন্তু সেখানে কোথাও তিনি পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট শব্দটি লেখেননি। নেতানিয়াহু প্রকাশ্যেই বলেন, তার সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। শুভেচ্ছাবার্তাতেও তিনি লিখেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার কত বন্ধুত্ব।

সূত্র : ডয়চে ভেলে 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here