ঢাকাঃ

প্রায় দুই হাজার বছর আগে জুয়া খেলার উত্থান। শুরুর দিকে অনিয়ন্ত্রিত জুয়ার আসরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই এক সময় ক্যাসিনোর উৎপত্তি হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জুয়ার আসরে চলে ক্যাসিনোর রমরমা ব্যবসা।

পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপালেও জুয়া খেলার জায়গা হিসেবে ক্যাসিনোর জনপ্রিয়তা আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্লাবগুলোতেও এই ক্যাসিনো ব্যবসার সন্ধান মিলেছে। কোন বৈধতা না থাকায় গত বুধবার থেকে একে একে এসব ক্যাসিনোগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অভিযানে এখন পর্যন্ত যেসব ক্যাসিনোর সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলো উন্নত বিশ্বের মতো এতটা আধুনিক ও আলিশান নয়। ঢাকার ক্যাসিনোগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিলাসবহুল ও আধুনিক ক্যাসিনোর খোঁজ পাওয়া গেল রোববার পুলিশের অভিযানে। সেটি হলো ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। ব্রিটিশ শাসন আমলে ইংল্যান্ডের রানীর নাম অনুসারে ১৯০৩ সালে এই ক্লাবটি স্থাপিত হয়। 

বাংলাদেশি ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের ক্লাব এটি। রোববার ওই ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সন্ধান পায় পুলিশ।  ক্লাবটিতে প্রবেশ করতেই যে কারো চোখ কপালে উঠে যাবে। একেবারে উন্নত বিশ্বের ক্যাসিনোগুলোর অনুকরণে সাজানো হয়েছে এটি। চারদিকে সুন্দরী নারীদের পাশাপাশি জুয়ার ছবি দিয়ে সাজানো।

ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার নয়টি বোর্ড। খোলা তাসের পাশাপাশি রয়েছে, প্যাকেট করা তাসের অসংখ্য বান্ডিল। টেবিলে রয়েছে ক্যাসিনোর কয়েন। একেবারে পশ্চিম দিকে রয়েছে ক্যাশ কাউন্টার। তার পাশেই রয়েছে একটি বাথরুম।

ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়ে ডিসি আনোয়ার বলেন, আমরা অভিযান করে নগদ এক লাখ টাকা, মদের বোতল, ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম পেয়েছি। ক্লাবের ভেতরের পরিবেশ দেখে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এখানে নিয়মিত ক্যাসিনো বসত।

পুলিশের নাকের ডগায় কীভাবে এসব ক্যাসিনো এতদিন চলে আসছে সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখনেই আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, তখনই আমরা অভিযান চালিয়েছি। এর আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here