বাগেরহাটঃ

কাঠ-মাটির ঘরে থাকতাম। ঠিকমত ঘুমাতে পারতাম না।বৃষ্টি হলে, শরীরে পানি পড়ত। খুব কষ্ট হত। কখনও ভাবতে পারিনি দালানে থাকব। ইউএনও স্যার দালান করে দিয়েছেন। এখন সেখানে একটু শান্তিতে থাকতে পারব। যারা আমাকে শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তোমাদেরও ঠাকুর শান্তিতে রাখবে। এই বলে চুপ করে ছিলেন আল্লাদী রানী পাল। পাশে থাকা আল্লাদীর মেয়ে রাধা রানীর চোখ বেয়ে পানি পড়ছিল, সে যেন আগেব আল্পুত হয়ে পড়েন পরিবারটি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মিত নিজের ভবনে (একতলা বিশিষ্ট দালান) বসে রবিবার সকালে এসব কথা বলছিলেন সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের শতবর্ষ বয়সী অসহায় আল্লাদী রানী পাল।

এর আগে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে আল্লাদী রানীর ঘর উদ্বোধন করেন। এসময় বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আল্লাদীর মেয়ে রাধা রানী বলেন, আমাদের ঘরের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হত। রোদ, ঝর, বৃষ্টিতে মাঝে মাঝেই মা অসুস্থ্য হয়ে যেত। টিএনও সাহেব আমাদের একটি ঘর করে দিয়েছে। এখন এখানে শান্তিতে থাকতে পারব। এছাড়াও আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন যা দিয়ে মাটির টালি তৈরির জন্য একটি ঘরও তৈরি করেছি।
প্রতিবেশী উজ্জল পাল বলেন, চোখের সামনে দেখেছি আল্লাদী অনেক কষ্ট করে বসবাস করত। টিএনও সাহেব তাকে একটি দালান করে দিয়েছেন। তা দেখে আমদের ভাল লাগছে।

এর আগে ৮ মে গনমাধ্যমে নব্বইয়েও থেমে নেই আল্লাদীর জীবনযুদ্ধ এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান আল্লাদীর দায়িত্ব নেন। পরে ৯ মে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান আল্লাদীর বাড়িতে যান, বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন। তখন আল্লাদীকে একটি ঘর করে দেওয়ার প্রশ্রুতি দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here