সবুজদেশ ডেস্কঃ

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোববার চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে শেষ ৩৩ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৪১৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধির হিসাবে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে আক্রান্ত হননি।

ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৬১ জন।

আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও বাড়ছে ধারাবাহিক ভাবে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩০৬ জনের। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ১৫৪ জনের।

এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৮৪ জনের। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী দিল্লিতে মৃত্যু ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। করোনার প্রভাবে সেখানে মোট ২ হাজার ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তৃতীয় স্থানে থাকা গুজরাটে মারা গেছেন এক হাজার ৬৩৮ জন। এর পর তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু (৭০৪), পশ্চিমবঙ্গ (৫৪০), উত্তরপ্রদেশ (৫০৭), মধ্যপ্রদেশ (৫০১), রাজস্থান (৩৩৭), তেলঙ্গানা (২০৩) ও হরিয়ানা (১৪৯), কর্নাটক (১৩২) ও অন্ধ্রপ্রদেশ (১০১)।

৩০ জানুয়ারি কেরালে ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর কেটে গেছে চার মাসেরও বেশি। ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। কোনো কোনো রাজ্যে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে।

প্রথম সংক্রমণ থেকে দেশটিতে মোট আক্রান্ত চার লাখ পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১৪৩ দিন। আক্রান্তের গন্ডিকে লাখ হিসাবে ভাগ করলে দেখা যাবে, শূন্য থেকে এক লাখে পৌঁছাতে লেগেছিল ১১০ দিন।

এই বৃদ্ধিকালের সময় ভারতজুড়ে জারি ছিল লকডাউন। কিন্তু এক লাখ থেকে সংক্রমণ ২ লাখে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে মাত্র ১৫ দিন। তিন লাখে পৌঁছাতে ১০ দিন ও চার লাখে পৌঁছাতে আটদিন।

আর শেষ ৩৩ দিনে তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন দেশটিতে। এই হারে যদি বাড়তে থাকে তাহলে পাঁচ লাখ পৌঁছাতে আরও কম সময় লাগবে।

তবে সুস্থ হয়ে ওঠার হিসাবও স্বস্তি দিয়েছে ভারতকে। এখন দেশটিতে সুস্থ হয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা সক্রিয় করোনা সংখ্যার চেয়ে বেশি। মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে সংখ্যাটা ইতিমধ্যেই ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এ নিয়ে মোট ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৬ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here