নারায়াণগঞ্জঃ

রিসোর্ট কাণ্ডে মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাকে ধর্ষণ করার অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।

রোববার বিকালে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। 

প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সেই মামলায় জান্নাত আরা ঝর্ণা যে বক্তব্য দিয়েছে সেই বক্তব্যর সঙ্গে আমরা মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা পেয়েছি। কারণ মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও দায়ের করা মামলায় জান্নাত নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি। 

মামুনুল হক জান্নাতকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করলেও বিয়ের সাক্ষী, কাবিননামা দেনমোহর এমন কি কোনো লিখিত কিছুই তার কাছে নেই। তার একাধিক বাড়িঘর ও বিপুল পরিমাণ সম্পদ সম্পর্কেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিন্তু যার কোনো আয়ের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, রিমান্ডে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি মামুনুলের কাছে। হেফাজত সম্পর্কে তিনি অনেক তথ্য দিয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠনের উগ্রবাদী নেতারা হেফাজতে যোগ দিয়ে একটি প্লাটফরম তৈরী করেছিলেন। এদের মূল টার্গেট ছিল রাজনৈতিক ফায়দা লুটা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া বা খেলাফত প্রতিষ্ঠা করার উচ্চাভিলাস প্রতীয়মান ছিল। তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদে অনেকের নাম এসেছে, আমরা সেগুলি যাছাই বাছাই করছি।
 
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল মামুনুল হকের সমর্থকরা সোনারগাঁ রিসোর্টে এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করে। মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হককে আসামি করে একাধিক মামলা হয়েছে। সে মামলায় পলাতক ছিলেন মামুনুল হক। রির্সোট বুকিংয়ে মামুনুল হক তার প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার নাম লেখেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ফোনালাপে তিনি ঝর্ণাকে প্রথমে শহিদুলের স্ত্রী বলে জানালেও পরে নিজের স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেছিলেন। 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here