কুমিল্লা:

সাত মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন এক মা। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে দুই দিনের রিমান্ডের মুখোমুখিও হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা আদালতে। বুধবার (৪ নভেম্বর) এই শিশুর কারণে ১৫ দিন হাজতে থেকে জামিন পেয়েছেন ওই মা।

জানা যায়, দেবরের স্ত্রীর আত্মহত্যা ঘটনায় হত্যার অভিযোগে মামলায় মা শাহনাজ আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিচারক শিশুপুত্রসহ শাহানাজ আক্তারকে কারাগারে পাঠান।

জামিনের আবেদনে বুধবার (১ নভেম্বর) শিশুসহ মাকে আদালতে হাজির করা হয়। এইদিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ ঢাকা থেকে কয়েকজন আইনজীবী একটি মামলার শুনানির জন্য কুমিল্লার আদালতে যান। মামলা পরিচালনার সময় কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভেতরে দেখেন একটি শিশু কাঠগড়ার মধ্যে গড়াগড়ি করছে। আবার কখনও কান্না করছে। বিষয়টি তাদের নজরে আসলে শিশুসহ ওই মাকে জামিনের জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করেন তারা।

পরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আতাব উল্লাহ শিশুসহ মা শাহনাজ আক্তারকে জামিন দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আক্তার হামিদ খান কবির। তিনি জানান, গত ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ আয়েশা আক্তার রীমা। এই মৃত্যুর ঘটনায় গৃহবধূ আয়েশার বাবা তার স্বামী নাসির উদ্দিন, ভাসুর মাসুম ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ১৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শাহনাজ বেগম। এসময় তার কোলে সাত মাসের শিশুসহ আসামিকে কারাগারে পাঠান আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মা শাহানাজ বেগম ১৫ দিন কারা বরণ করেছেন। এর মধ্যে মামলায় শিশুকে কোলে নিয়ে তাকে রিমান্ডের মুখোমুখিও হতে হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা এটা অন্যায় করেছেন। করোনাকালে তাদের জামিনের বিষয়ে দায়িত্ব নিয়ে সাহায্য করা উচিত মনে করেছি। বিচারক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশু ও তার মাকে জামিন দেন বলে জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here