ফাইল ফটো

যশোরঃ

যশোরের মণিরামপুরে সান্ধ্য কোচিংয়ের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম এক দাখিল পরীক্ষার্থী  শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ঝাঁপা দক্ষিণপাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসায় গিয়ে মাদরাসা সুপার শাহাদাৎ হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মনিরামপুর সদর সার্কেলের এএসপি রাকিব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্যদিনের মতো গেল ৩০ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থী তাদের মাদরাসা শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে সান্ধ্য কোচিংয়ে যায়। কোচিং শেষে অন্যরা চলে গেলে মাদরাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক নজরুল ইসলাম মেয়েটিকে একটি চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে জ্ঞান হারায়। এরপর মাদ্রসার মৌলভী তরিকুল ইসলাম তাকে মাদরাসার টয়লেটের পাশে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

এদিকে, মেয়েটি বাসায় না ফেরায় রাতে স্বজনরা তার খোঁজে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেন, কেউ নেই। একপর্যায়ে টয়লেটের গলিতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়। জ্ঞান না ফেরায় রাত দুইটার দিকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২ অক্টোবর বাড়িতে ফিরে মেয়েটি বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ লোকজন বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদরাসা হামলা চালিয়ে মাদরাসা সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।খবর পেয়ে বিকেলে মণিরামপুর থানা পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেনকে উদ্ধার করে। এরপর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।ছাত্রীর অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১৫-২০ দিন ধরে ওই মাদরাসা দাখিল পরীক্ষার্থীদের সান্ধ্য কোচিং চালু করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন দুইজন করে শিক্ষক ১৫-১৭ জন ছাত্রীর কোচিং করান।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর কৃষিশিক্ষক তরিকুল ইসলাম ও সহকারী মৌলভী শিক্ষক নজরুল কোচিং করান।

সহকারী পুলিশ সুপার (মণিরামপুর সার্কেল) রাকিব হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিলম্বিত সময়ের কারণে অভিযুক্ত শিক্ষক গা ঢাকা দিলেও তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here