যশোরঃ

আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ তুলেছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল।

এর ঠিক ২৪ ঘণ্টার মাথায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আনলো ছাত্রলীগের পৌর ও সদর উপজেলা শাখা।

আজ দুপুরের প্রেসক্লাব যশোরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ১৯৭৫-পরবর্তী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের অবস্থা সবাই জানেন। আর জানেন বিপুলের অবস্থাও।

লিখিত বক্তব্যে বিপুলকে প্রচুর অবৈধ টাকার মালিক, অফিস স্পেস দখলকারী, অশ্লীল নৃত্য পরিচালনাকারী, যবিপ্রবি ছাত্র খুনে অভিযুক্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

বলা হয়, ‘বর্তমানে সে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছে। ছাত্রলীগ পরিচয় ব্যবহার করে নানা অপকর্ম ও অবৈধ ব্যবসা করে এই অর্থ উপার্জন করেছে। আর সে তার অপকর্ম ঢাকতে মালিক ও বিল্ডার্স কর্তৃপক্ষকে হুমকি-ধামকি দিয়ে শহরের গাড়িখানা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কাসেম টাওয়ার/নদীবাংলা টাওয়ারের কয়েকটি ফ্লোর দখলে নিয়ে একটি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও ফাতেমা টেক সলিউশন নামে ব্যবসা করছে।’

ব্যবসার অন্তরালে সেখানে বিপুল কী করছেন, তা খোঁজ নিলে পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে মন্তব্য করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে উঠতি কর্মীদের মাদকের পথে ঠেলে দেওয়া, যশোর শহরের টাউন হল মাঠ ও সাগরদাঁড়ীতে মধুমেলায় অশ্লীল নৃত্য, জুয়া ও মাদকের আসর বসানোর অভিযোগ আনা হয়।

এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এমনকী শাহীন চাকলাদারের কাঁঠালতলার অফিসে বসে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিপুল।

শাহীন চাকলাদারের অনুসারী হিসেবে ছাত্ররাজনীতিতে উত্থান বিপুলের। সম্প্রতি তিনি পক্ষ ত্যাগ করে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে ভিড়েছেন। এরপর থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here