যশোরঃ

যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে ফোন ও এসএমএস (খুদে বার্তা) পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করেছে একটি চক্র। চাঁদা না দিলে পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করা হবে- এমন হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধ ও বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ জিয়াউর রহমান, যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মাৎ লুৎফুন নাহার ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মাদ আলমগীরের কাছে ওই চক্রটি চাঁদা দাবি করেছে।

বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে। পুলিশ এ চক্রটি শনাক্তে কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকালে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে ফোনে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অবহিত আছি। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কেউ এমনটি করতে পারে। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেফতার করে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা যায়, যশোর সদর, চৌগাছা ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে ফোন করে সংগঠনের সদস্যদের চিকিৎসা ও মামলার খরচ পরিচালনার জন্য চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। বুধবার বিকালে সর্বহারার প্রধান পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মাৎ লুৎফুন নাহারকে বলেছেন, ‘তাদের সংগঠনের কর্মীদের চিকিৎসা বাবদ ৩৫ লাখ টাকা লাগবে। ২৫ লাখ সংগ্রহ হয়েছে। বাকি টাকার জন্য আপনি সামর্থ্য অনুযায়ী দেবেন। বিকাশ নম্বর পাঠাচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে আমার ফোনে একটি ম্যাসেজ এসেছে। ওই ম্যাসেজে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতির হুমকিও দেয়া হয়েছে। শুধু তিনি নন, দুইজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছেও চাঁদা দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here