যশোরঃ

যশোরের মণিরামপুরে সানজিদা আক্তার লিমা (১৬) নামে এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। তার পিতার দাবি, লিমাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ওই রাতেই খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে তার পিতা বাবলু হোসেন বাবু মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিহতের পিতা বাবুল হোসেন বাবু জানান, উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে চা বিক্রেতা ওমর ফারুকের সাথে ছয় মাস আগে লিমার বিয়ে হয়। মেয়ে তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। একমাস আগে যৌতুক চাওয়া নিয়ে জামাইয়ের সাথে আমার দ্বন্দ্ব হয়। পরে স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার মীমাংসা করে তারা মেয়ে নিয়ে যায়। তখন থেকে তাদের সাথে আমার বনিবনা ছিল না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌতুকের দাবিতে ওরা আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। পরে বাড়িতে লাশ ফেলে রেখে ঘাতক স্বামী ফারুকসহ পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, রোববার রাত ৯টার দিকে ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য চিকিৎসক মোস্তফা কামালকে মোবাইলে ডেকে আনে নিহতের স্বামী ওমর ফারুক। ডাক্তার এসে ঘরের খাটের উপর সানজিদাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তখন ওমর ফারুকসহ বাড়ির সবাই লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি।

মণিরামপুর থানার উপ পরিদর্শক আক্তারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা নয়। কারণ লাশের গলার বামপাশে কালো দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের দাগ রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হলে সেখানে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, লিমার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here