যশোরঃ
খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম তারিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্ত্রী মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। আহত নাজিয়া ইসলামকে রোববার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত তারিকুজ্জামান বিসিএস ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা ও যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কুয়াদা গ্রামের জাফর মজিদের ছেলে। আর আহত নাজিয়া ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজিয়া ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ২১ জানুয়ারি স্বামী একেএম তারিকুজ্জামানের গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। স্বামী মোবাইল ফোনে এক নারীর সঙ্গে কথা বলছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বামী ক্ষুব্ধ হয়ে কাঠ দিয়ে আমার মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করে। একই সঙ্গে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গৃহবন্দি করে রাখে।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে আমাকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আত্মীয় বাড়িতে রেখে আসে। সেখানে বিনা চিকিৎসায় ভুগছিলাম। আমার বাবা খোঁজ পেয়ে উদ্ধার করে আজ সকালে (রোববার) যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
নাজিয়া ইসলাম আরও জানান, স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের দুটি মামলা চলমান আছে। এ মামলায় তাকে ওএসডিও করা হয়েছিল। ৬ মাস আগে পারিবারিকভাবে মীমাংসার পরে আমরা একসঙ্গে থাকা শুরু করি। এরপর অভিযোগ প্রত্যাহার করলে চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পায় তারিকুজ্জামান। চাকরিতে যোগ দিয়ে আবার মারধর শুরু করেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম তারিকুজ্জামান বলেন, চাকরির সুবাদে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়। আমি ফোনে কথা বললেই স্ত্রী সন্দেহ করে নারীর সঙ্গে কথা বলছি। ফোনে কথা বলা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী আমার বাবা-মা তুলে গালিগালাজ করে। এর জবাবে আমি স্ত্রীকে চড় থাপ্পড় মেরেছি। তবে সেটি আহত হওয়ার মতো আঘাত নয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আফজাল হোসেন বলেন, নাজিয়া ইসলামের কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফল পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।