টেকনাফঃ

কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা মো. ওমর ফারুক হত্যা মামলার আরেক আসামি আটক রোহিঙ্গা মো. হাসান (২০) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়।

সোমবার ভোররাতে জাদিমোরা পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, টেকনাফ থানার একদল পুলিশ হ্নীলা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. ওমর ফারুক হত্যা মামলার আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাসানের স্বীকারোক্তিতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য জাদিমোরা পাহাড়ে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে এসআই সাব্বির আহমদ (৩০), কনস্টেবল লিটন (২১) এবং বাহার আহত হয়। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১০ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গভীর পাহাড়ের পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১টি এলজি, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৮টি কার্তুজের খোসাসহ মো. হাসানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসান ও আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসানকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও ফারুক হত্যার ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here