ফাইল ছবি-

সবুজদেশ ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বারবার আঘাত দিলে আমরা বসে থাকব, এটা আর হবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে খেলতে দেব না। ২১ বছর শুধু মার খেয়েছি। এবার পাল্টা মার দিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “একটি দল দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা তো দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে সরকারে আসার পর গত ১৪ বছরে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটেছে। আমরা দেশের উন্নয়নে চমক দেখিয়েছি। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছি।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিকল্পিতভাবে মানুষের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের পর একটি দেশবিরোধী অপশক্তি ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসন করেছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট চুরি করে না, সংরক্ষণ ও অধিকার আদায় করে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি চুরিচামারি, বোমাবাজি, হামলা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিনের পর দিন অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। মতিয়া চৌধুরীসহ এমন কোনো নেতা নাই, যারা বিএনপির দ্বারা নির্যাতিত হন নাই। ২১ আগস্টসহ একাধিক বোমা হামলা করেছে আমাকেও মেরে ফেলার জন্য।”

সরকারপ্রধান বলেন, “২০১৩-১৪ সালে দেশজুড়ে অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাস করেছে বিএনপি। কই আওয়ামী লীগ তো কোনো সন্ত্রাস করেনি। আমরা ইচ্ছে করলে পারতাম। কিন্তু করিনি।”

বিএনপি বিদেশের হাজার হাজার টাকা পাচার করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা আমাদের হাতে ধরা পড়েনি। এফবিআইয়ের কাছে ধরা পরেছে। তারা আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করতে লোক ভাড়া করেছিল। তাদের এত টাকা। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশ থাকবে না। লুটপাট শুরু করবে।”

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here