ঢাকাঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মৃত্যু হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এই লেখকের মৃত্যুর ঘটনায় কারাগারের পক্ষ থেকে জয়দেবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

মুশতাকের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন জয়দেবপুর থানার এসআই সৈয়দ বায়েজীদ জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুশতাকের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। তার পিঠের মাঝখানে যে কোনো সময় ‘ঘা’ হয়েছে এমন দাগ পাওয়া গেছে। ডান হাতে হালকা লালচে কালো ছোট দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে আনার সময় বা গাড়িতে উঠানোর সময় এ দাগ হয়ে থাকতে পারে। তবে কোনো অসঙ্গতি নিশ্চিতের জন্য ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে।

হাসপাতাল মর্গে লাশের জন্য অপেক্ষমান লেখক মুশতাকের বড় ভাই ডা. নাফিছুর রহমান বলেন, তার লাশ আমি নিজে দেখেছি। কোনো প্রকার সমস্যা আমার চোখে পড়েনি। ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন ছাড়া আমি এ ব্যাপারে কী বলব? আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা কোনো মামলাও করব না।

শুক্রবার বাদ মাগরিব লালমাটিয়া সি ব্লকের মিনার মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা করছি। পরে লাশ দাফন হবে আজিমপুর কবরস্থানে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফী মোহাইমেন জানান, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। দৃশ্যত তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির পর বিস্তারিত বলা যাবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতরেই মুশতাক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুশতাক নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের ৬ মে ঢাকা জেলে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here