আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। ভূমিকম্পের কারণে ইজিয়ান সাগরের তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

ভূমিকম্পে অন্তত ৬ জন নিহত ও আরও ১২০ জন আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকের এই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শুধু তুরস্কই নয়, গ্রিসেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।


মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএসর তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গ্রিসের সামোস দ্বীপের কারলোভাসি শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭।

তবে এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬ বলছে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গ্রিসের ভূমিকম্প জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমিকম্পে সমুদ্রে সুনামি সৃষ্টি হয়েছে। তুরস্কের ইজমির শহরের  কিছু রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এখন পর্যন্ত চারজন নিহত ও আরও ১২০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। কারণ ভূমিকম্পে ধসে পড়া অনেক বাড়ির নিচে অনেকেই চাপা পড়েছেন। 

একইরকম ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে গ্রিস সরকার। 

গ্রিসের সরকারি টেলিভিশনে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের পর পূর্বাঞ্চলীয় ইজিয়ান সাগরের সামোস দ্বীপে ক্ষুদে-সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। 


এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপের বেশ কিছু ভিডিও। 

যেখানে দেখা যাচ্ছে,  সমুদ্রের উত্তাল গর্জনে ইজমির শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীতে ভবন ধসের স্থানগুলো থেকে ঘন সাদা রঙয়ের ধোয়া উড়ছে। শহরে কয়েকডজন ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় স্বজনদের উদ্ধারে এদিক সেদিক ছুটছেন। ধ্বংসস্তুপের নিচে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা। 

তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here