নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শব্দ দূষন রোধে ঝিনাইদহ শহরে যত্রতত্র মাইকিং বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে যুব ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুব ফেডারেশনের আহবায়ক বিশিষ্ট সমাজ সেবক এস এম রবি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার হাফিজ ফারুক, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি এ্যাড. কানন কুমার দাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি একরামুল হক লিকু, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম আনোয়ার হুসাইন, এস ঘরানা ইন্সটিটিউটের পরিচালক শাহানাজ পারভিন সেতুসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সম্প্রতি ঝিনাইদহ শহরের শব্দদূষন সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। ফুল ভলিয়ম সাইন্ডে মাছ, মাংস, কোচিং সেন্টারে ভর্তি, প্রাইভেট হাসাপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের প্রচার, এনার্জি বাল্ব এবং ইদুর মারার ঔষধ বিক্রি, পাড়া মহল্লায় পিকনিকের নামে রাতভর গানবাজনাসহ নানা অজুহাতে প্রচার মাংকিং অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও যানবাহনের হর্ন, রাতে ইটভাঙ্গার শব্দ, সিমেন্ট মিকসারের শব্দ গ্রীলের দোকানের হাতুড়ি পেটানো, জেনারেটরের শব্দ ও ক্যানেটের দোকানে উচ্চ আওয়াজে গান বাজানো শব্দসহ নসিমন করিমনের ভটভটির শব্দে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে শহরবাসী। অতিমাত্রায় শব্দ দূষনের ফলে মানুষের শ্রæতিসীমা হারিয়ে ফেলছে। চিকিৎসকের মতে শব্দদূষনের ফলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিশু, গর্ভবতি মা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষনের ফলে শ্রবনশক্তি লোপ, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, অনিদ্রা, হৃদযন্তের সমস্যাসহ নানা রকম মানষিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, পরিবেশ অদিদপ্তরের এক জরিপের মাধ্যমে জানা যায় মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের শ্রবনশক্তি হ্রাস পেয়েছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here