সবুজ দেশ নিউজ ডেস্কঃ
অভিনেত্রী শমী কায়সারের মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের চোর সন্দেহ ও গালিগালাজ করার অভিযোগে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেন নি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
গত ৩০ এপ্রিল আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করে রমনা থানার ওসিকে অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট “বিন্দু৩৬৫” এর উদ্বোধনকালে মিডিয়া কর্মীসহ সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্যান্য মানুষের উপস্থিতিতে শমী কায়সার তার দুটি স্মার্টফোন হারিয়ে যায় মর্মে অভিযোগ করেন।
এরপর সেখানে শমী কায়সার উপস্থিত সাংবাদিকদের চোর বলে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তার দেহরক্ষীরা সাংবাদিকদের নানা রকম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে শমী কায়সার আধা ঘন্টা গেটে দাঁড়িয়ে থেকে সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশী করান এবং তার নির্দেশে নিরাপত্তা কর্মীরা মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেন। কোনো কোনো সাংবাদিক দেহ তল্লাশী শেষে বের হতে চাইলে তাদের বের হতে না দিয়ে চোর বলে ও বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ওই ঘটনার সময় বিভিন্ন মিডিয়ার ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও বিভিন্ন ফুটেজ এবং বিভিন্ন অনলাইনের সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এবং সংবাদ ও পত্রিকার মাধ্যমে প্রচার হিসেবে এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
এজাহার আরও বলা হয়, দেশের সমস্ত সাংবাদিক গোষ্ঠীসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর এবং অপমানজনক। তার এরূপ আচরণের প্রচার-প্রসার ও অনলাইনে বিরাজমান থাকার কারণে বাদী ও সাংবাদিক গোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে আসামি প্রায় ১০০ কোটি টাকার মান-সম্মান নষ্ট করেছেন।
আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।