ঢাকাঃ

কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মশাল মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনসহ অন্যান্য বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর এ মশাল মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘মশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে গেলে সেখানে বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।’

রাশেদ শাহরিয়ারের দাবি, লাঠিচার্জে তাদের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাশেদ।

তিনি জানান, লাঠিচার্জের পর মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেন। পরে পুলিশ সেখানে গেলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে।

পুলিশ সেখানে আবার লাঠিচার্জ করে বলে জানান রাশেদ শাহরিয়ার। তখন পাঁচ মিনিট ধরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।

পরে পুলিশ শাহবাগের দিকে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বলে জানান রাশেদ।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উর রশীদ বলেন, ‘প্রথমে বিক্ষোভকারীরা আমাদের লক্ষ্য করে মশাল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ৬-৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তাদের প্রতিহত করে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান পৌনে ৮টার দিকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘পাবলিক লাইব্রেরির সামনে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে আমাদের ওপর মশাল ছুঁড়ে মারে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা দুই ভাগ হয়ে একভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে চলে যায়। আরেকভাগ আমাদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ১৩-১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আমি নিজেও আহত হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here