কুষ্টিয়া:

২০২১ সালের স্প্রিং সেমিস্টারে ফুল ফ্রি স্টুডেন্টশিপ এর আওতায় সারাদেশ থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। যারা প্রান্তিক পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৯(৪)ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০৪ টি আবেদন যাচাই-বাছাই লিখিত পরীক্ষা ও ওরাল ডিফেন্সের মাধ্যমে ৩২ জনকে নির্বাচিত করা হয়।

করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা যখন পড়াশোনা ও নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ভুগছেন ঠিক সেই সময়ে ৩২ শিক্ষার্থী ভর্তি করে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়। চার বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান কোর্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থীকে এই সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নামমাত্র ১১ টাকা প্রতীকি অর্থ পরিশোধ করে এই শিক্ষা গ্রহণ করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়েল পক্ষ থেকে ২৬ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতে এই তথ্য জানানো হয়ছে। রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব হাসানুল হক ইনু এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় তার উদ্দেশ্য সাধনে সঠিকভাবে এগিয়ে চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। শিক্ষা কোন পণ্য নয় প্রতিটি মানুষের মোলিক অধিকার। শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে এগিয়ে যাচ্ছে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান আলী জানিয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লিখিত পরীক্ষা এবং ওরাল ডিফেন্সের মাধ্যমে ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।এই সুযোগ দিতে পেরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ক্ষেত্রে্ ইতোমধ্যে যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সমগ্র প্রক্রিয়াটি অনলাইন মাধ্যমে সমাপ্ত করার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক মানের মানবিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। ফল সেমিস্টার থেকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

এছাড়াও করোনা যোদ্ধা হিসেবে সেই প্রথম থেকে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here