যশোরঃ
ধর্ষণ ঘটনার এক মাস পর অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে (১৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ
১৪ মে যশোরের অভয়নগরে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী (৭) ধর্ষণের শিকার হয়।
ওই ঘটনার পর গোপনাঙ্গে ইনফেকশন দেখা দিলে শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ধর্ষণ ঘটনা ফাঁস হয়।
এরপর মামলা দায়ের হলে পুলিশ মূল অভিযুক্ত পায়রা গ্রামের সাফায়েত মোল্যার ছেলে মিলশ্রমিক সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
১৩ জুন রোববার বিকেলে ওই শিশুর বাবা অভয়নগর থানায় একটি মামলা (নম্বর-১৮,তারিখ-১৩.৬.২০২১) করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে বিকেলে ওই শিশু তাদের বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল। তখন পায়রা গ্রামের সাফায়েত মোল্যার ছেলে মিল শ্রমিক সাজ্জাদ হোসেন টেলিভিশন দেখার কথা বলে ফুসলিয়ে তাকে নিজবাড়ি নিয়ে যায়। পরে জোর করে শিশুটিকে বাথরুমের মধ্যে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ভয়ে সে কান্নাকাটি শুরু করে। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে সাজ্জাদ তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ভয়ে সে বিষয়টি গোপন করে। কিন্তু পরে ওই ছাত্রীর গোপনাঙ্গে দেখা দেয় ইনফেকশন। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৫ জুন তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুটি তার বাবা-মাকে ঘটনাটি বর্ণনা করে।
অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, ঘটনার ব্যাপারে জানতে পেরে মূল অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সবুজদেশ/এসইউ
