সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিল মিয়ানমার - ছবি : সংগৃহীত

সবুজদেশ ডেস্কঃ

মিয়ানমারের সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান চলাচলের দায়িত্বে থাকা দেশটির সরকারি সংস্থা। মিয়ানমারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেইজে জানায়, দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তা সোমবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দূতাবাস টুইটারে জানায়, সংবাদগুলো ইঙ্গিত দেয় যে মিয়ানমারের সব বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে।

মার্কিন দূতাবাস `নিরাপত্তা সতর্কতা’ জারি করে বলেছে যে তারা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র আটকের পাশাপাশি ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে অবগত রয়েছে।

মিয়ানমারের পূর্বের নাম ব্যবহার করে তারা আরো জানায়, ‘বার্মায় রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাব।’

দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনী সোমবার জানিয়েছে, এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নতুন সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেবে।

স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।

দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করা হবে এবং গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনা করা হবে।

সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন মায়াওয়াদ্দি টেলিভিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের হাতে।

২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে জানিয়ে, নতুন সংসদ অধিবেশন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে সামরিক বাহিনী। তবে গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত, সামরিক অভ্যুত্থানের হুমকির বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশটির নতুন সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে জরুরি অবস্থা জারির এ ঘোষণা আসে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here