ঢাকাঃ

ঢাকার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও তার এজেন্টদের মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার খানের উপর।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৭ টা ৩৫ মিনিটের দিকে ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (ঠেলাগাড়ি প্রতীক) তাঁর এজেন্টদের নিয়ে কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন।

ওই সময় মূল প্রবেশ পথে তাঁদের বাধা দেন ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার উদ্দিন খানের ( ঝুড়ি প্রতীক) লোকজন। ওই লোকজনের গলায় মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার উদ্দিন খানের কার্ড ঝোলানো ছিল। বাধা উপেক্ষা করে মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর এজেন্টদের নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে আফসার উদ্দিন খানের লোকজন তাঁদের হাত দিয়ে ধাক্কা দেন। একপর্যায়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে চড় থাপ্পড়সহ মারধর শুরু করেন। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর এজেন্ট ছাড়াই ভেতরে প্রবেশ করলে আফসার উদ্দিন খানের লোকজন বেরিয়ে যান। পরে আটটা বাজার পাঁচ মিনিট আগে আফসার উদ্দিন খানের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

সাংবাদিকদের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এজেন্ট নিয়ে মূল গেট দিয়ে ঢোকার পর আফসারউদ্দিন খানের লোকজন আমাকে এবং আমার এজেন্টদের মারধর করে। এজেন্টদের বের করে দেয়। সেখানে মিডিয়া কর্মীরা ছিলেন। পুলিশ ছিলেন। পুলিশ দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

পরে ওই একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যখন এসেছি, মারধরের কিছু দেখিনি। পরে মোস্তাফিজুর রহমান আমার কাছে এসে বিষয়টি বলেছেন। উনি যা বলেছেন, আপনারা তা দেখেছেন। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি বলব। আমি নিজেই মোস্তাফিজুর রহমানকে জড়িয়ে ধরেছি। আমি মনে করি, এমন সুন্দর সম্পর্ক হওয়া উচিত। আসুন আমরা সুশৃঙ্খলভাবে সবাই ভোট দিই।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, কেউ তাঁর কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে তাঁর জন্য ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here