কক্সবাজারঃ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকেও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছেন বাদী।

সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম (কক্সবাজার সদর-৪) তামান্না ফারাহর আদালতে এই আবেদন করেন।
তার আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, “আদালত আবেদনটি গ্রহণ করলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেয়নি। যে কোনো সময় আদেশ হতে পারে।”

আবেদনে বলা হয়, “সিনহা হত্যার আগে ও পরে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সঙ্গে মামলার আসামিদের যোগাযোগ ছিল। পুলিশ সুপার আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করছেন। তাই সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার স্বার্থে তাকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।”

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের কাছে বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা।

ওই ঘটনায় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে এক নম্বর এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপকুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

মামলার পর ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ সুপারকে আসামি করার কারণ সম্পর্কে বাদী শারমিন সাংবাদিকদের বলেন, “কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলে ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করছি।”

মামলাটি র‌্যাব তদন্ত করছে। তারা মামলার ১৩ আসামিকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ পর্যন্ত মামলায় ১২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি সোমবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে সেই প্রতিবেদনে কী আছে তা এখনো বলেনি মন্ত্রণালয়। তবে প্রতিবেদনে তুলে ধরা বক্তব্য নানা সূত্র উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here