মৌলভীবাজারঃ

মৌলভীবাজার পৌর শহরের একটি স্কুলে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করার পর ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকাল তিনটার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কবির বলেন, ‘মশার স্প্রে করার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে তাদের ছেড়ে দিয়েছি। তারা সবাই এখন সুস্থ আছে।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, শনিবার পৌনে তিনটার দিকে স্কুলে ক্লাস চলছিল। এ সময় পৌরসভার পক্ষ থেকে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অসুস্থরা শিক্ষার্থীরা হলো, অষ্টম শ্রেণির এমি বেগম, সানন্দ দত্ত, ইসমা বেগম, রিমা বেগম, মৌসুমি দত্ত, রিয়া দত্ত, তনিমা জান্নাত, শাহরিয়ার সাদি, প্রজ্ঞা চৌধুরী, সুমাইয়া, সৈয়দা ফাহিমা ও সপ্তম শ্রেণির সৈয়দা লাবিবা আহমদ।

অসুস্থ শিক্ষার্থী এমির মামা মান্নান আহমদ বলেন, ‘মশক নিধন হোক সেটা আমরা চাই। কিন্তু আমাদের সন্তানদের ক্ষতি করে মশক নিধন নয়। আমরা স্কুলে সন্তানদের পাঠিয়েছি ভালো শিক্ষার জন্য। স্কুলে গিয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে এর দায়ভার কে নেবে? ওষুধ ছিটানোর আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া উচিত ছিল।’

সৈয়দ রাশেদ আহমদ ও মনজু দত্ত নামে দু’জন অভিভাবক বলেন, ‘ক্লাস চলাকালে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে আমরা আতঙ্কিত। পৌর কর্তৃপক্ষ চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ওষুধ স্প্রে করতে পারতো।’

দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘মশার ওষুধ স্প্রে করার কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছি। বিকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের রিলিজ দেয়।’

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রত্ম দ্বীপ বিশ্বাস বলেন, ‘অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।’

জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পর আমি হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে গিয়েছি। স্কুল চলাকালীন কোনও বিদ্যালয়ে স্প্রে করা হবে না।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here