কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া পৌরসভার ময়লার গাড়ির হেলপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন বর্তমান পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান। হেলপার থেকে এখন পৌরসভার সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন এই মান্নান।

১৯৯৮-৯৯ সালে সার্ভেয়ার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন রামবাবু। এসিস্ট্যান্ট সার্ভেয়ারের পোষ্ট সৃষ্টি করিয়ে সার্ভেয়ার হিসেবে নিয়োগ পান আব্দুল মান্নান। ওই সময় পৌরসভার বর্তমান মেয়র আনোয়ার আলীও দায়িত্বে ছিলেন না। চাকুরিতে যোগদানের আগে সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান পৌরসভার ময়লা টানা গাড়ীর হেলপার ছিলেন। ওই সময় কুমিল্লার সালাম নামে এক দালালের মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে সার্ভেয়ারের সাটিফিকেট ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তা কিনে সার্ভেয়ার হয়ে যান।

সার্ভেয়ার হওয়ার পরই টাকার কুমির বনে গেছেন সার্ভেয়ার মান্নান। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন বিতর্কিত এই সার্ভেয়ার মান্নান। বছরে বছরে বেড়েছে তার আয়। শূন্য হাতে পৌরসভার সার্ভেয়ার হয়ে এখন তিনি ঘুরে বেড়ান বিলাসবহুল গাড়িতে। কুষ্টিয়াতে বিলাসবহুল বাড়িও বানিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড়। এছাড়া স্ত্রী, শাশুড়ির নামেও অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার এক কাউন্সিলর জানান, সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান যা বেতন পান তা দিয়ে খুব ভালো চলে তার সংসার। কিন্তু বিলাসবহুল বাড়ি করা সম্ভব নয়। পৌরসভার সার্ভেয়ার হওয়ার পরই এ যেন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বিভিন্ন কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। শহরের বাড়াদি এলাকায় প্রায় শতবিঘা জমিও কিনেছেন। এতেই থেমে থাকেননি। পৌরসভার সার্ভেয়ার হওয়ায় সরকারি ডিসি আর কাটা জমিও বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

প্রশ্ন উঠেছে, সার্ভেয়ার হওয়ার পর অদৃশ্য জাদুর ছোঁয়ায় মান্নান এত সম্পদের মালিক কীভাবে হলেন? কীভাবে তিনি রাতারাতি গড়ে তুললেন অঢেল সম্পদ আর প্রাচুর্য। কীভাবে গড়ে তুললেন নানান রকমের ব্যবসা-বাণিজ্য। এ নিয়ে কুষ্টিয়া শহরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা মানুষের মুখে মুখে।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মুঠোই ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

১টি মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here