সবুজদেশ ডেক্সঃ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘুষের টাকাসহ একজন রাজস্ব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়েক ঘণ্টা ধরে অভিযান পরিচালনার পর দুদকের দলটি রাজস্ব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার কর্মকর্তার নাম নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) পদে কর্মরত। অভিযানের সময় কাস্টম হাউসের নিচতলায় তাঁর কক্ষের স্টিল আলমিরা খুলে ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদকের কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে এই টাকা জব্দ করা হয়।

দুদক জানায়, সমুদ্রগামী জাহাজের ছাড়পত্র প্রদানে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন–১০৬) অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী জাহাজ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এরপরই দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ ও মো. হুমায়ুন কবীর।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের প্রবেশদ্বার দুর্নীতিমুক্ত করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ঘুষসহ গ্রেপ্তার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করবে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল রাখতে এই ধরনের অভিযান আরও চালানো হবে।’

জাহাজ কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, বন্দরে আসা সমুদ্রগামী জাহাজ বন্দর ত্যাগের আগে তিন সংস্থা থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। এই তিনটি সংস্থা হলো নৌবাণিজ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টমস। সমুদ্রগামী জাহাজের সব মাশুল পরিশোধ করা সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার পর এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র পেতে দেরি হলে জাহাজগুলো বন্দর ত্যাগ করতে পারে না। এতে বাড়তি খরচ হয় জাহাজ মালিকদের।

জানতে চাইলে শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সমিতির কার্যালয়ে শিপিং এজেন্টরা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অবহিতও করা হয়েছিল। কারণ পোর্ট ক্লিয়ারেন্স বা ছাড়পত্র পেতে দেরি হলে জাহাজ বন্দর ত্যাগ করতে পারে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here