সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাস মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এ বছর শেষ হওয়ার আগেই কুয়েত ছাড়তে হতে পারে ১৫ লাখ প্রবাসীকে। নতুন আবাসন আইন এবং সরকারি চাকরিতে কুয়েতিদের অগ্রাধিকার প্রক্রিয়ার কারণে এ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কুয়েতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন।

স্থানীয় পত্রিকা আরব টাইমস জানিয়েছে,ইতোমধ্যেই কুয়েত ছেড়ে গেছেন অন্তত ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রবাসী। আর এত লোক ফিরেছেন মাত্র ১১৬ দিনের মধ্যে; নির্দিষ্ট করে বললে, গত ১৬ মার্চ থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতে বসবাসকারী মিসর এবং ভারতের নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অবশ্য, বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরাও। কুয়েতের নতুন আবাসন আইনের খসড়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাত্র ৩ শতাংশ কোটা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, এই আইন পাস হলে দেশটিতে অবস্থানরত আড়াই লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে ফেরত আসতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, কুয়েতের মোট জনসংখ্যা ৪৩ লাখ, এর মধ্যে ৩০ লাখই অভিবাসী। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই ভিন দেশের নাগরিক।

এ কারণে কুয়েত সরকার সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে, জনসংখ্যাভিত্তিক ভারসাম্য রক্ষায় অভিবাসীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্যে গত সপ্তাহে নতুন আবাসন আইনের একটি খসড়া অনুমোদন করেছে কুয়েতের সংসদীয় কমিটি। এতে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের ভিন্ন ভিন্ন কোটায় ভাগ করে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, কুয়েতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা বিবেচনার বিধিও রাখা হয়েছে এ আইনে।

আরব নিউজ বলছে, আগামী নভেম্বরে কুয়েতের নির্বাচনকে মাথায় রেখে অক্টোবরের মধ্যেই নতুন আবাসন আইন পাসের চেষ্টা করছে দেশটির মন্ত্রিসভা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here