সবুজদেশ ডেস্কঃ

মার্কিন পার্লামেন্টে দাঙ্গার পরদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  

প্রথমবারের মতো বাইডেনের জয় মেনে নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, নিয়মমাফিক ২০ জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

এমন সময়ে ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন  যখন ডেমোক্র্যাটদলীয় শীর্ষ নেতারা প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ট্রাম্পকে অপসারণের আহ্বান জানাচ্ছেন। 

হোয়াইট হাউস থেকে চলে যাওয়ার মাত্র ১৩ দিন আগে তাকে সরিয়ে দেয়ার এই দাবি উঠেছে।  ট্রাম্প এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে ২০ তারিখেই ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

দেশটির গণতন্ত্রের প্রতীক বলে খ্যাত ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।  মার্কিন আইনপ্রণেতারা যখন বাইডেনকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যয়নের জন্য বৈঠক করছে তখন এই হামলা ঘটেছে। 

এই হামলার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিকে দায়ী করা হচ্ছে। ট্রাম্পের পোস্ট সহিংসতা আরও উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে তার টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

১২ ঘণ্টা পর টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়ে দাঙ্গাকারীদের নিন্দা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।  বলেন, এটা ছিল জঘন্য হামলা।

বৃহস্পতিবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়েই ট্রাম্প বলেন, বর্তমানে নির্বাচনের ফল প্রত্যয়ন করেছে কংগ্রেস। আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

‘এখন আমি মসৃণ, সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্নে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে মনোযোগ দিচ্ছি। সময়টা এখন ক্ষত সারানোর ও মীমাংসার আহ্বান জানানোর।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দিতে আমি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছি। যদিও কিছু মার্কিন গণমাধ্যমের দাবি, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েনে তিনি ইতস্তত করেছেন। বরং এই দায়িত্ব তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্টের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন।

এছাড়া তার ‘অসাধারণ সমর্থকদের’ তারিফ করে অঙ্গীকার করে বলেন, আদতে আমাদের অবিশ্বাস্য যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে।

যে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন, তাতে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি খুব একটা তুলে ধরেননি তিনি। গত নভেম্বরে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন জয়ী হয়েছেন; কারণ নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে।

 প্রসঙ্গত, বুধবারের হোয়াইট হাউসের বাইরের সমাবেশ থেকে সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেন। 

এরপর বাইডেনের বিজয়কে স্বীকৃতি দিতে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন চলার সময় সেখানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে কয়েক ঘণ্টার জন্য অধিবেশন স্থগিত রেখে আইনপ্রণেতাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। নজিরবিহিন এই হামলায়  ৪ জন নিহত হয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here