সবুজদেশ ডেস্কঃ

সদ্য সমাপ্ত ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান। তাদের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে বিসিবির সঙ্গে দেনদরবার করেন তিনি। এর মাঝে টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ফলে সাকিব-বিসিবি সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অনেকেই শঙ্কা করেন, তাকে কোনো শাস্তি দিতে পারে বোর্ড। তবে বিসিবি নয়, দেশসেরা ক্রিকেটারকে শাস্তির আওতায় আনছে আইসিসি! তাকে দেড় বছর ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করতে পারে তারা।

২ বছর আগে চিহ্নিত জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি গ্রহণ না করলেও চেপে যান তিনি। সেই অপরাধে ১৮ মাস আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবকে শাস্তি দেয়নি আইসিসি। তবে ঘটনা সত্য হলে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা থেকে প্রথমবার কোনো শাস্তি পাবেন তিনি। তবে বিসিবি থেকে এর আগেও বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তি পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিবকে ২০১৪ সালে প্রথমবার নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেবার শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি ম্যাচে টেলিভিশন ক্যামেরার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন তিনি। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।এর মুখে পড়ে প্রথমে তাকে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ করে বোর্ড। পরে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

একই বছর আবার শাস্তির কবলে পড়েন সাকিব। বোর্ডের শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আচরণগত সমস্যার অভিযোগে ২০১৪ সালের ৭ জুলাই ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রিকেটে ৬ মাস নিষিদ্ধ হন তিনি। এছাড়া পরবর্তী দেড় বছর দেশের বাইরে কোনো টুর্নামেন্টে খেলার জন্য তাকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) না দেয়ারও ঘোষণা দেয় বিসিবি। অবশ্য পরবর্তীতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট বোর্ড। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩ মাস কমানো হয়।

এরপর তেমন কোনো শাস্তির আওতায় পড়েননি সাকিব। তবে বিভিন্ন সময় বিসিবি ও তার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বিশেষ করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবরই বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। দিন কয়েক আগে গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি করায় সাকিবকে আবার শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেন তিনি। তবে এর আগেই আইসিসি শাস্তি ঘোষণা করে দিতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here