নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুই পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। কিন্তু ৮ জনের মধ্যে নৌকা প্রতিকের দুই বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া সকলেই জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোট পড়েছে ২৬ হাজার ৮৩৯টি। জামানত বাঁচাতে হলে একজন প্রার্থীকে আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ তিন হাজার ৩৫৪টি ভোট পেতে হবে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের ফলাফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীক নিয়ে আশরাফুল আলম আশরাফ পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি দলীয় ধানের শীষের আলহাজ মাহবুবার রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৪ ভোট। এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার নুরুল ইসলাম এক হাজার ৪৭১ এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নারিকেলগাছ প্রতীকের এনামুল হক ইমান পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৬ ভোট। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফুল আলম আশরাফ বাদে সবাই জামানত হারিয়েছেন।

অন্যদিকে, মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১৫ হাজার ৯৭৫টি। জামানত বাঁচাতে হলে একজন প্রার্থীকে এক হাজার ৯৯৬টি ভোট পেতে হবে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রশিদ খাঁন নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯৮। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের আমিরুল ইসলাম খাঁন চুন্নু পেয়েছেন এক হাজার ৫৫ ভোট। এছাড়া নারিকেলগাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা কিরণ ৯২২ ভোট এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার তাহাবুর রহমান ভোট পান ৩৮৩টি।

ফলে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রশিদ খাঁন বাদে সবাই জমানত হারিয়েছেন। তবে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও প্রশাসনের সহযোগিতায় জোর করে ভোট নেওয়াসহ নানা অভিযোগে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, জামানত ফেরত পেতে হলে অবশ্যই মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট প্রার্থীকে পেতে হবে। নাহলে সেই প্রার্থী জামানত ফেরত পাবেন না। এই নিয়মের মধ্যে কেউ না থাকলে তারা জামানত পাবেন না।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here