সাতক্ষীরাঃ
বাড়ির গাছে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে নিজের হাসুয়ায় গলাকেটে প্রাণ গেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা খাতুনের। এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রোববার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা খাতুন (১৪) ওই গ্রামের ভ্যানচালক ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। সে ভবানীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বাঁশদহা ইউপি সদস্য মহসিন আলি জানান, রোববার বিকালে তাসলিমা একটি বাঁশের লগিতে ধারালো হাসুয়া বেঁধে নিজ বাড়ির গাছে উঠেছিল পেয়ারা পাড়তে। একপর্যায়ে তার হাত থেকে ফঁসকে গিয়ে লগিতে বাঁধা হাসুয়াটি তার গলায় বিধে যায়। মুহূর্তেই তার শ্বাসনালী কেটে যেতেই সে মাটিতে পড়ে যায়।
অল্পক্ষণেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাসলিমা। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এটি হত্যা বা আত্মহত্যা কোনোটিই নয়। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা।