ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাবউদ্দীন ডিগ্রি কলেজে চার প্রভাষককে দুদকে তলব

Reporter Name

সবুজ দেশ নিউজ:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাবউদ্দীন ডিগ্রি কলেজে (এম ইউ) প্রভাষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চার শিক্ষককে তলব করেছে দুদক।গেলো রোববার দুপুরে  ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এম ইউ ডিগ্রি কলেজের সকল বিভাগের অধ্যাপক, প্রভাষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সার্টিফিকেট, নিয়োগ, বেতন কাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র তদন্ত করেন।সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের মৌখিক সাক্ষাত গ্রহণ করেন যশোর দুদক উপ-পরিচালক সৌরভ দাস।জানা গেছে, ২০১০ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সেলিনা ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সুপর্ণা বিশ্বাস, ভূগোল বিভাগের প্রভাষক সাইফুন নাহারকে নিয়োগ দেন তৎকালীন অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমান।এ ঘটনায় ২০১৪ সালের এক নভেম্বর তিন প্রভাষক নিয়োগ, পরীক্ষায় অনিয়ম, অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক দুর্নীতির দায়ে অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন কলেজ পরিচালনা পরিষদ। এরপর থেকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আ. মজিদ মণ্ডল।কারিগরি বিভাগে জাল সনদ দিয়ে চাকরির অভিযোগে প্রভাষক রকিবুল ইসলাম মিল্টনসহ তিন প্রভাষককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ২২ মার্চ-এর মধ্যে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন যশোর দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ. মজিদ মণ্ডল সবুজ দেশ নিউজ অনলাইনকে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি অনুসন্ধানে তদন্ত করছে দুদক। আমরা অতি দ্রুত দুদক কার্যালয়ে হাজির হব।যশোর দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সৌরভ দাস সবুজ দেশ নিউজ অনলাইনকে বলেন, অভিযুক্তদের নিয়োগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৭:৪১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মার্চ ২০১৮
৯২৮ Time View

কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাবউদ্দীন ডিগ্রি কলেজে চার প্রভাষককে দুদকে তলব

Update Time : ০৭:৪১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মার্চ ২০১৮

সবুজ দেশ নিউজ:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাবউদ্দীন ডিগ্রি কলেজে (এম ইউ) প্রভাষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চার শিক্ষককে তলব করেছে দুদক।গেলো রোববার দুপুরে  ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এম ইউ ডিগ্রি কলেজের সকল বিভাগের অধ্যাপক, প্রভাষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সার্টিফিকেট, নিয়োগ, বেতন কাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র তদন্ত করেন।সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের মৌখিক সাক্ষাত গ্রহণ করেন যশোর দুদক উপ-পরিচালক সৌরভ দাস।জানা গেছে, ২০১০ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সেলিনা ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সুপর্ণা বিশ্বাস, ভূগোল বিভাগের প্রভাষক সাইফুন নাহারকে নিয়োগ দেন তৎকালীন অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমান।এ ঘটনায় ২০১৪ সালের এক নভেম্বর তিন প্রভাষক নিয়োগ, পরীক্ষায় অনিয়ম, অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক দুর্নীতির দায়ে অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন কলেজ পরিচালনা পরিষদ। এরপর থেকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আ. মজিদ মণ্ডল।কারিগরি বিভাগে জাল সনদ দিয়ে চাকরির অভিযোগে প্রভাষক রকিবুল ইসলাম মিল্টনসহ তিন প্রভাষককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ২২ মার্চ-এর মধ্যে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন যশোর দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ. মজিদ মণ্ডল সবুজ দেশ নিউজ অনলাইনকে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি অনুসন্ধানে তদন্ত করছে দুদক। আমরা অতি দ্রুত দুদক কার্যালয়ে হাজির হব।যশোর দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সৌরভ দাস সবুজ দেশ নিউজ অনলাইনকে বলেন, অভিযুক্তদের নিয়োগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।