সবুজদেশ ডেক্সঃ আসন্ন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য মিয়া ভাই নামে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে জনপ্রীয়তায় সকলের শীর্ষে রয়েছেন।
আসন্ন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিয়া ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল জনপ্রিয়তায় রয়েছেন সকলের শীর্ষে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে সকলের কাছে রয়েছে মিয়া ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেলের জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্বি।

জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেলকে ছোট-বড় সকলেই তাকে মিয়া ভাই বলে ডাকেন। জানাগেছে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনে পদার্পন করেন তিনি। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার ভুমিকা ছিল প্রশংসনিয়। প্রশংসনিয় ভূমিকা পালন করার কারনে ১৯৯৪ সালে পৌর ছাত্রলীগের ৫ নং (নিশ্চিন্তপুর) নিজ ওয়ার্ডে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন এই ছাত্রনেতা। সেই সময় থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের মৌলিক আধিকার রক্ষায় দীর্ঘ সংগ্রামী সময় অতিবাহিত করে তিনি। ১৯৯৭ সালে পৌর ছাত্রলীগের ১ নং যুগ্ন-আহবায়কের পদ লাভ করে পৌর এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান সুদৃঢ় করার আগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। সকল প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ সালে কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক সভাপতি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা ততকালিন নাম মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হবার পর ছাত্রলীগে আবারও নেমে আসে অন্ধকার। কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপে ২০০০ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহবায়ক পদ লাভ করেন। রাজনৈতিক ভাবে তিনি ডজন খানেক মিথ্যা মামলার শিকার ও আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়েছে তাকে। ২০০৩ সালে সেনা বাহিনীর বিচরনের মধ্য দিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় নতুন করে শুরু হয় নির্যাতন। তারই মধ্য দিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগসহ গণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অংশ নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি নির্দেশ পালন করেন বলে জানান তিনি। জোট সরকারের পুলিশ বাহিনী তার পরিবারের উপর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। ওয়ান ইলেভেনের পর ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সর্ব প্রথম কালীগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত হয়। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় একযুগ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব ন্যায় ও নিষ্টার সাথে পালন করে সকলের কাছে ভালোবাসার মিয়া ভাই হিসাবে খ্যাতী লাভ করেন তিনি। ২০১৬ সালে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের এই ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে জানন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আজ অনেক সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। দূর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েক বার কিন্তু কখনো আওয়ামী লীগ ছাড়েননি তিনি। বিপদ-আপদ ও সুখে-দুঃখে সব সময় এই মিয়া ভাই নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন বটোবৃক্ষের মতো।
জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল জানান, আশা করি দল আমার কাজের মূল্যায়ন করবে। আমাকে উপজেলার মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হয়ে আনোয়ারুল আজীম আনার এমপির নেতৃত্বে কালীগঞ্জ উপজেলাকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, ঘুষ-দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত একটি আধুনিক উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তুলবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here