ফাইল ফটো

নওগাঁঃ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, সঠিক ইতিহাস এবং সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ সংরক্ষণ করে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে যাবে। আর ইতিহাস মুছে গেলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি লাভবান হবে। তারা জয়ী হবে। দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বর্তমান সরকার সারা দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, বড় বড় যুদ্ধের স্থানসমূহ, গণহত্যা এবং বধ্যভূমিসমূহে একই ডিজাইনে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী বৃহষ্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলার ১১টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসমূহের উদ্বোধনী এবং এ উপলক্ষে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মো. হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্ধোধনী ও জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম এবং নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. হারুন-অল-রশীদ। 

বর্তমান সরকার কর্তৃক দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ মর্যাদার কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা আরও বৃদ্ধি করা, বিজয় দিবস ভাতা এবং উৎসব ভাতা প্রদানের পকিল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তা অবিলম্বে বাস্তবায়িত হবে। 

মন্ত্রী দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার এই ৪৮ বছরে মাত্র ১৯ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। এই ১৯ বছরে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট ও অন্যান্যরা ৩০ বছর এ দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। তারা এই দীর্ঘ ৩০ বছরে মাত্র ২০ ভাগ উন্নয়ন করেছে।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের মধ্যে সম্যক ধারণা দিতে আগামী বিসিএস পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। এর মধ্যে ৫০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে ১৯৭১ সালে সংঘটিত ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছিলেন। অবশেষে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর ডাকেই এ দেশের অকুতোভয় বাঙালি অস্ত্র হাতে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। 

এর আগে মন্ত্রী পর্দা টেনে নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসমূহের ফলক উন্মোচন করেন। এলজিইডি মোট ২৪ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার ১১টি উপজেলায় ১১টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here