নোয়াখালীঃ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় গত কয়েক দিন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জের ধরে সোনাইমুড়ি থানায় শালিসি বৈঠকের সময় গোলাগুলি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ ও ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। সোনাইমুড়ী পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছিলো। এর জের ধরে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে বুধবার রাতে শালসি বৈঠক ডেকে সমাধানের চেষ্টা করেন। বৈঠক শুরু হওয়ার সময় অন্য আরেকটি গ্রুপের ১৫-২০ জনের একটি দল এসে কোনো কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি ককটেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলি শুরু করে। এতে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ ও কনটেস্টেবল জসিম উদদীনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এ ছাড়া বিপ্লব (২৫) নামে একজন গুলিবিদ্ধ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবু সায়েমসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।

পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  

স্থানীয়রা আরো জানায়, সোনাইমুড়ী পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মহড়া প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।   

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সংর্ঘষের ঘটনায় তিনি থানায় বসে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি উত্তেজনায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আমিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here