খুলনাঃ
খুলনার রূপসায় চাঁদা দাবির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সাধন অধিকারীর বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার রূপসা থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার আলাইপুর গ্রামের বজলুর রশিদ শিকদারের ছেলে ঠিকাদার আব্দুর রউফ শিকদার।
সাধন অধিকারী উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর ভাই।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন একই ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের আজগর শিকদারের ছেলে হিরণ শিকদার (২৫), হিরক শিকদার (৩০), আজগর শিকদার (৬০) ও তকছেদ শিকদারের ছেলে লিটন শিকদার (২৬)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের আলাইপুর হতে পালেরহাট পর্যন্ত জিসি রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে। রাস্তার ঠিকাদার ইদ্রিস শেখের নিকট থেকে সাব-ঠিকাদার হিসেবে রাস্তায় বালু ভরাটের কাজ নেয় আ. রউফ শিকদার। কাজ করা অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান সাধন ও তার অনুসারীরা বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আলাইপুর ব্রিজের পশ্চিম পাশে সাধনের নেতৃত্বে অন্যরা রউফের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় চেয়ারম্যান হুমকি দেন- শালাকে জীবনে শেষ করে দে! এ কথা শুনে হিরণ তার হাতে থাতা হকিস্টিক দিয়ে রউফকে আঘাত করেন। এ সময় অন্যরাও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে। এ সময় রউফের ভাই আজিজুল ও পিতা বজলুর রশিদ ঠেকাতে এলে তাদেরও মারপিট করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মামলার বাদী ঠিকাদার আব্দুর রউফ শিকদারের ভাই আজিজুল শিকদার বলেন, মামলার পর আসামিরা বাদী ও আমাদের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করছে। এ অবস্থায় আমরা পরিবার নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি।
তবে মামলার বিষয়ে ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাধন অধিকারীর ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপসা থানার ওসি (তদন্ত) সর্দার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান সাধন অধিকারীসহ ৫ জনের রিরুদ্বে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আসামিরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউপি চেয়ারম্যান সাধন অধিকারীর বিরুদ্ধে এর আগে রূপসা উপজেলা প্রকৌশলী সেলিমকে মারপিট করার অভিযোগ রয়েছে। পরে অবশ্য উপজেলা প্রশাসনের নিকট ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান তিনি।