ইবি প্রতিনিধিঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রিন্টিং প্রেস অফিসের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

রেজিস্টার অফিস সূত্রে বলা হয়, তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে প্রকৌশল অফিসের উপ-প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরিফ উদ্দিন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযুক্ত ইবি কর্মকর্তা মনিরুলের বিরুদ্ধে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুদ করিমের কাছ থেকে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময়ের পরে মাসুদ তার কাছে টাকা চাইলে গত ১৩ জানুয়ারি সব টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। তিনি ঐ তারিখে নগদ টাকা প্রদান প্রদান না করে অগ্রণী ব্যাংক, ইবি শাখার ৪২৯৬ হিসাব নম্বরে একটি চেক প্রদান করেন।

পরে মাসুদ ঐ তারিখেই চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল স্বাক্ষরে অমিল মর্মে একটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফিরিয়ে দেন। অর্থের বিষয়ে মনিরুলকে অবহিত করার পরেও সে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। উল্টো হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় প্রতারণা করে টাকা আত্মসাত করার অসৎ উদ্দেশ্যের অভিযোগ এনে সে আইনজীবীর দ্বারস্থ হন।

পরে সম্প্রতি ঐ কর্মকর্তা বরাবর উকিল নোটিশ পাঠানো হয় এবং যা বিভিন্ন জাতীয়-অনলাইন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐ কর্মকর্তা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here