সবুজদেশ ডেস্কঃ

জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গত ছয় দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেলে ও রাতে এক বৃদ্ধ ও কলেজছাত্রের মৃত্যুর খবরে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও মারা যাওয়া পরিবারের লোকজন থাকছেন না ঘরে। কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে রাতেই লাশ দাফন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুজনের জানাজাতেই এলাকার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে আব্দুল বারেক (৬০) নামে এক বৃদ্ধ গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ালেও সেরে ওঠেননি। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নিজ বসতঘরেই মারা যান।

অপরদিকে একই দিনে বিকেলে মারা যান উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লা জয়পুর গ্রামে বোনের বাড়িতে থাকা মো. হোসেন আলী (২০) নামে এক কলেজছাত্র। তিনি হচ্ছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেরার জল্লি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। গত চার দিন আগে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে ঢাকা থেকে বোনের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানে অবস্থানের সময় গত মঙ্গলবার বিকেলে মারা যান। পরে রাতে তড়িঘড়ি করে লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। 

এ দুটি ঘটনার পর এলাকার লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হলেও পরিবারের লোকজন নিজেদের ঘরে আটকে রাখেননি। উপরন্তু বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করছেন। জানা যায়, মারা যাওয়া কলেজছাত্র হোসেনের ভাগ্নি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় তার অবস্থা বেগতিক দেখে আজ বুধবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও উপজেলার কাঁকনহাটি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার মারা যান। একই দিন সন্ধ্যায় মারা যান মাইজবাগ ইউনিয়নের কবীরভুলসোমা গ্রামের মো. নেওয়া আলীর মেয়ে নাজমা বেগম (২৫)। পরদিন সন্ধ্যায় মারা যান তাঁর চাচা আব্দুর রাজ্জাক (৫৫)। দুজনেরই জ্বর, সর্দি ও কাশি ছাড়াও ছিল শ্বাসকষ্ট। পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনায় ওই সব এলাকার লোকজন রয়েছে আতঙ্কের মধ্যে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নুরুল হুদা খান মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তারা আগে থেকেই নানা অসুখে ভুগছিলেন। তা ছাড়া করোনা পরীক্ষা করার মতো আমাদের কোনো ইকুইপম্যান্ট ছিল না। আজ (বুধবার) এসেছে। এ ব্যাপারে আমরা আরো তৎপর থাকব।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here