যশোরঃ
যশোরে বিভিন্ন বাজারে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে লাগামহীনভাবে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০-৫৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি ১১০ টাকার পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
(১৩ নভেম্বর) বুধবার বিকালে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে এ এলাকার নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।
যশোর শহরের বড়বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী জননী ভান্ডারের মালিক জীবন মিয়া জানান, দেশীয় পেঁয়াজ গতকাল মঙ্গলবার ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করেছি। সেই পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার তুরস্ক , বার্মা ও মিশরের পেঁয়াজ আমদানি করছে সেই পেঁয়াজও এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০-৩৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী সাতক্ষীরা বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক শাহীন বিশ্বাস জানান, পেঁয়াজের দাম উদ্ধগর্তিতে বাড়ার কারণে আড়ৎতে পেঁয়াজ পড়ে আছে। খুচরা ক্রেতারা বেশি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করতে আগ্রহী নয়।
তিনি আরো জানান, সরকারকে দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। তাহলে দ্রুতই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে।
আলম হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজ ক্রয় করতে কাঁচা বাজারে এসে জানতে পারি গতকাল যে পেঁয়াজ ১০০ টাকা ছিলো সেই পেঁয়াজ দেড় শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এজন্য এক কেজি পেঁয়াজ না কিনে এক পোয়া কিনেছি। সুষ্ঠভাবে বাজার মনিটারিং হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। নিয়মিত বাজার মনিটারিং করলে দাম কমবে বলে তিনি আশাবাদী।
বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী জানান, মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১ শ’ ছিলো। বুধবার খুচরা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় টাকা করে বিক্রি করেছে। অনেক ক্রেতা পেঁয়াজ না কিনে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে যশোর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবীব জানান, প্রায় প্রতিদিনই বাজার মনিটারিং করা হচ্ছে। যশোরে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃত্রিম সংকটে হয়েছে। আশা করি দ্রুতই যশোরের পেঁয়াজের দাম কমবে।