রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিও গ্রাম মেশিন প্রায় এক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে থাকায় হৃদ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক করোনার ভাইরাসের কারণে ভারতে যাওয়া কঠিন হওয়ায় বিপাকে পড়েছে রংপুর বিভাগের আট জেলার রোগীরা। এনিয়ে অনেক রোগী-স্বজন ও সচেতন নাগিরকবৃন্দ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমনিতেই রংপুর মেডিকেল করেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নেই, তার ওপর মেশিনগুলো বিকল থাকায় রোগীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন,করোনাকালীন সময়ের জন্যই কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে।

রমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের এনজিও গ্রাম মেশিনটি গত বছর ২১ অক্টোবর থেকে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে হৃদযন্ত্রের সঠিক পরীক্ষা, স্থায়ী ও অস্থায়ী পেসমেকার এবং রিং স্থাপন বন্ধ রয়েছে। রংপুরে বেসরকারি কোন হাসপাতাল ক্লিনিকেও এ মেশিন না থাকার কারণে রোগীদের চিকিৎসা নিতে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। রমেক হাসপাতালে এনজিও গ্রাম মেশিন চালু হয় ২০১১ সালে। তখন থেকে এনজিও গ্রাম হয়েছে ৯৭২টি, স্থায়ী পেসমেকার ৪০০টি ও অস্থায়ী পেসমেকার ১৬৭টি এবং রিং স্থাপন হয়েছে ৮টি।

এনজিও মেশিন বিকল হওয়ার পর থেকে সেখানে হৃদযন্ত্রের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের হৃদরোগ বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সঠিক হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য ঢাকায় যেতে হচ্ছে।

মোস্তাফিজার রহমান, আশরাফুল আলম ও নুর মোহাম্মদসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ঢাকায় চিকিৎসা নামে প্রতারণা বেশি হওয়ায় তারা ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন। সাম্প্রতিক কালে করোনার কারণে ভারতে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেলের এনজিও গ্রাম মেশিন বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে আমাদের মত বিপাকে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের রোগীরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা: ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এনজিও গ্রাম মেশিন বিকলের বিষয়টি ঢাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে লোকজন এসে মেশিন দেখে গেছেন। আশা করি খুব দ্রুত এনজিও গ্রাম মেশিনটি চালু করা যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here