ঝিনাইদহঃ

অনেক শিক্ষার্তী আছে যারা মেডিকেল এ পড়াশুনা করতে ইচ্ছুক এবং অনেকের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া। অনেকের স্বপ্ন পূরণ হয় আবার অনেকের হয় না আসন সল্পতার কারনে। বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজগুলোর আসন সংখ্যা সিমীত হওয়ায় অনেকরই স্বপ্ন অসমাপ্ত রয়ে যায় আর যাদের স্বমথ রয়েছে প্রাইভেট মেডিকেল এ পড়াশুনা করার তারা প্রাইভেট এ ভর্তি হয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করে।

সম্প্রতি চলতি বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৮৫ নম্বর পেয়ে ৮ম হয়েছেন হয়েছেন মোছাঃ সাবরিনা মুশতারী বৃষ্টি।তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ৩নং কুশনা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা আলুকদিয়া গ্রামে।

কোটচাঁদপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কোটচাঁদপুর সরকারী খন্দকার মোশারফ ডিগ্রী কলেজ এইচএসসি পাস করেন মোছাঃ সাবরিনা মুশতারী বৃষ্টি।সাবরিনা মুশতারী বৃষ্টি পিতা মো: আব্দুল আজিজ মাষ্টার ও মাতা শাহানাজ পারভীন মা গৃহিণী।তাঁর ভাই ইমারন হোসেন শোভন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফাইনাল ইয়ারে অধ্যায়নরত আছে।

জাতীয় মেধা তালিকায় অষ্টম হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাবরিনা মুসতারী বৃষ্টি বলেন, ফলাফল পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। ফলাফলের পেছনে মা-বাবাসহ শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি।সফলতায় আমার ভাইয়ার দিকনির্দেশনা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ।ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই।

এদিকে, মেয়ের এমন কৃতিত্বে আনন্দে আত্মহারা আব্দুল আজিজ হোসেন মাষ্টার মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। এদের মধ্যে মেয়ে ২৬ হাজার ৫৩১ জন। ছেলে ২২ হাজার ৮৮২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ২২ অক্টোবর। শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। সরকারি মেডিকেলে ভর্তি শেষ হওয়ার পর বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে ভর্তি শুরু হবে। ১১ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে অংশ নেন ৬৯ হাজার ৪০৫ জন।

উল্লোখ্য, মেডিকেল এডমিশন টেস্টে প্রতি বছর বহু ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দেয়। এবারের এমবিবিএস কোর্সে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ৯ জন বেশি এবার আবেদন করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here