গাজীপুরঃ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননী বেরোনিকা রোজারিওকে (৫০) ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা।
রোববার রাতে কাললীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে উলুখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সোমবার সকালে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ও কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত বেরোনিকা রোজারিও নাগরী ইউনিয়নে উলুখোলা গ্রামের মৃত সমীর রোজারিওর স্ত্রী। তিনি নাগরী এলাকায় মঠবাড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আয়ার কাজ করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, নিহত ওই নারী মঠবাড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আয়ার কাজ করার সুবাদে প্রত্যেহ পাশের বাড়ির কয়েকজন মেয়েকে তার সঙ্গে করে স্কুলে পাঠাতেন অভিভাবকরা। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালে বেরোনিকার বাড়িতে যায় দু’জন শিক্ষার্থী। এ সময় ছাত্রীরা ঘরের দরজা খোলা পেয়ে মাসি মাসি বলে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই বেরোনিকার রক্তাক্ত লাশ ঘরের খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখে।
পরে ওই ছাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রূপন চন্দ্র সরকার জানান, বেরোনিকা রোজারিও বাড়িতে একা থাকতেন। তার তিন মেয়ে রয়েছে। এদের একজন টঙ্গীর পাগার এলাকায় ও বাকি দুইজন চট্টগ্রামে চাকরি করেন। নিহতের গলায় দুই হাতের আঙ্গুলের ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে খুনিরা।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, নিহত বেরোনিকা রোজারিও একাই ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রায় ১০ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। কী কারণে, কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতের বাসা থেকে কোনো জিনিস খোয়া যায়নি।