ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনের ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় কালীগঞ্জ ভূষণ রোডের উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান মিঠু মালিতা, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান সজল, সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মোমতারিন ফেরদৌস ডরিনসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক নেতাকর্মী।

লিখিত বক্তব্যের শুরুতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজিম উদ্দীন জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের নাম। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সারাদেশে মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ একটি মহল সম্প্রতি কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সংগ্রামী নেতা মনির হোসেন সুমনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং চুড়ান্ত চার্জশীট থেকে সুমনের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া থেকে চলতি বছরের ১৬ জুন কৃষক নাসির উদ্দীনের দুইটি মহিষ চুরি হয়। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানায় ২৬ জুন একটি মামলা হয়। মামলার পর জেলার পুলিশ কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের সদ্য প্রয়াত আজগার আলীর ছেলে সেলিমের বাড়ি থেকে একটি মহিষ উদ্ধার করে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সেলিম। এসময় মহিশ উদ্ধার নিয়ে পুলিশের সাথে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। পরে আটক সেলিম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। সেখানেই নাম আসে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনের। আদালতে সেলিম জানান, তিনি চোর নন। মহিষটি শিবনগর গ্রামের মনির হোসেন সুমন, একই গ্রামের মিলন, কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামের ঢালীপাড়ার তরিকুল ও চুয়াডাঙ্গার রশিদ তার কাছে বিক্রি করেন।

এমন সংবাদ গণমাধ্যমে আসার পর ঘটনা তদন্তে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়ালসহ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহিম নাছিম, তৌহিদুল ইসলাম, এনামুল হক আবু ও মোঃ রায়হান খান।

কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন মুঠোফোনে জানান, তিনি কিছুই জানেন না। তবে এ রকম কিছু হয়ে থাকলে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল জানান, ঘটনা যদি অসত্য হলে আমরা সাংগঠনিক ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আর যদি সঠিক হয় তবে সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তারা জানান, এ বিষয়ে তারা মঙ্গলবার চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here