ঝিনাইদহঃ
সুলতানী আমলের ঐতিহাসিক বৈরাট নগর আজকের ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বারোবাজারে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্য ও নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যে মহা মুল্যবান সম্পদগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে।
শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জের হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ডের সম্মেলন কক্ষে বারবাজার প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষা আন্দোলন কমিটির আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে একাত্বতা ঘোষনা করে স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার, উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডসহু কালীগঞ্জের কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বারোবাজারের ঐতিহ্যরক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুর রশিদ। এরপর সুলতানী আমল থেকে বর্তমান সময়কার বারোবাজার সম্পর্কে সাংবাদিকদের তথভিত্তিক নানা ডকুমেন্টরী উপস্থান করেন আন্দোলনের আহবায়ক সনজিৎ কুমার দে। তিনি ঐতিহ্যবাহী বারোবাজার সম্পর্কে বলেন, সুলতানী আমলে এ এলাকায় ১২ জন মুসলিম শাসক ছিলেন। যাদের নাম প্রাচীন শিলালিপিতে পাওয়া গেছে। তারা ধর্ম প্রচারসহ এ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। এ এলাকায় সুলতানেরা অসংখ্য মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন বড় বড় দীঘি খনন করেছিলেন। এখানে রয়েছে গাজী কালু চম্পাবতী, সুফি সাধক ও সুলতানদের মাজার। তিনি বলেন কালের গহবরে আজ অনেক কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিন্ত এখনও রয়েছে প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এগুলো সংরক্ষনের মাধ্যমে এ এলাকায় একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর নির্মানের মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে একদিকে রক্ষা হবে এ এলাকার প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য অন্যদিকে সরকারের আসবে পর্যাপ্ত রাজস্ব।
এ সময় সার্বিক সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার, উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম, বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাক প্রেসক্লাব সভাপতি জামির হোসেন, সাধারন সম্পাদক সাবজাল হোসেন, উপদেষ্টা শাহজান আলী বিপাশ, কালের কন্ঠের প্রতিনিধি নয়ন খন্দকার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম, বারোবাজার গন গ্রন্থাগারের সভাপতি আলমগীর হুসাইন প্রমূখ।