সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ
কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ তুলে নিয়েছে মোদি সরকার। জারি করা হয়েছে বিভিন্ন নির্দেশিকা। এই প্রস্তাবের পরই এবার আট হাজার আধাসেনা মোতায়েন করা হলো কাশ্মীর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সি-১৭ বিমানে করেই এই সেনাদের শ্রীনগরে আনা হয় বলে জানা গেছে।গত কয়েকদিনে জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ হাজারের কিছু বেশি সেনা মোতায়েন করেছে দিল্লী। আর সোমবার ৩৭০ ধারার বিলুপ্তির পর আরও আট হাজার আধা-সেনা মোতায়েন করছে কেন্দ্র। বিমানবাহিনীর সি-১৭ বিমানে করে বাড়তি ওই সেনাকে ইতিমধ্যে উপত্যকায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ, ওড়িষা, আসাম ও দেশের আরও কিছু প্রান্ত থেকে সেনা পাঠানো হচ্ছে উপত্যকায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির সুযোগে যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর কার্যকলাপ না করতে পারে জঙ্গি সংগঠনগুলো, সেজন্যই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। এছাড়াও সোমবার এই ঐতিহাসিক ঘটনার পর উপত্যকার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লাদাখ ও জম্মুর বাসিন্দারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, এখনও মন থেকে এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছে না কাশ্মীরের বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে পাথরবাজদের সক্রিয়তার আশঙ্কায়, বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে মোদি সরকার।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে হাই-এলার্ট জারি হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লির বিভিন্ন কার্যকলাপে গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীর নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিলের প্রস্তাব পেশ হওয়ার আগেই, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ একান্তে আলোচনা করেন তিনি। এরপর নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সূত্র: কলকাতা২৪