ফাইল ফটো

ঢাকাঃ

জিয়াউর রহমান জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন যেই শক্তিটি দেশের অভ্যুদয় চায়নি, সেই শক্তির পরবর্তী প্রজন্মের আশ্রয়স্থল হচ্ছে জিয়াউর রহমান। যারা বাংলাদেশ চায়নি, তাদেরকে পুনর্বাসিত করেছিলেন জিয়া। তিনি পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছিলেন যে- ‘বাংলাদেশে কোনও মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে না’।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। সারাদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথমে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে, এরপর ছেলে ধরা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে, এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আপনারা নিশ্চয়ই এর মধ্যে দেখেছেন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের কাছে ব্যর্থ হয়ে এখন গুজবের আশ্রয় নিয়েছে। এসব গুজবের কোনো সত্যতা নেই। এগুলো হয়তো অনেকটা ভূতের মতো, ভূত যেমন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, কোনো ভিত্তি নেই। ঠিক একইভাবে বিএনপির এসব গুজব হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, দেখলাম, বিএনপি নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকত না। বিএনপি নেতারা রাজনৈতিকভাবে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বলে এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা এটাও বলেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি নাকি আমরা চাই না। খালেদা জিয়া তো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, এখানে আওয়ামী লীগের কোনো হাত নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনারা আইনি লড়াই জোরদার করুন। আপনাদের আইনজীবীদের মধ্যে নানা ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে তা কাটিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে আপনাদের নেত্রীকে মুক্ত করুন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here