সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ

চোখের সমস্যা নিয়ে কোলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন মইনুল আলম। সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু ফারহানা ইসলাম তানিয়া এবং ফুফাতো ভাই জিয়াদ। মাঝেমধ্যেই কোলকাতায় আসতেন মইনুল। কিন্তু, এবার আর দেশে ফেরা হল না। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই বন্ধু মইনুল ও তানিয়ার। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচেছেন জিয়াদ।

দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভাইয়ের এমনভাবে মৃত্যু হয়েছে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না মইনুলের ভাই সাইফুল আলম। শনিবার বিকালে যখন তাকে ফোন করা হয়, তিনি তখন যশোহরের বিমান ধরছেন। কান্না জড়ানো গলায় বললেন, ‘ভাবতেই পারছি না এমনটা হয়েছে। পরশু রাতেই কথা হয়েছিল। আমি ঝিনাইদহে যাচ্ছি বাবা-মায়ের কাছে। ওরা তো এখনও কিছু জানেনই না।’

সাইফুল জানান, তানিয়া তার ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন। জিয়াদ এবং তানিয়াকে নিয়ে মইনুল গত ১৪ তারিখ ভারতে আসেন। উঠেছিলেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে।

মইনুল যশোহরের ঝিনাইদহের বাসিন্দা। তবে, গ্রামীণ ফোনে কাজ করার সূত্রে তিনি ঢাকায় থাকতেন। ম্যানেজার পদে কর্মরত মইনুলের স্ত্রী এবং চার বছরে ছেলেও তার সঙ্গেই থাকতেন।

বন্ধু তানিয়া ঢাকায় সিটি ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাইফুল।

১৫ আগস্ট রাতে মইনুলের সঙ্গে শেষ কথা হয় সাইফুলের। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখ দেখাতে গিয়েছিল এর আগে। এ বারের যাওয়া ছিল রুটিন চেকআপের জন্য। তানিয়া-জিয়াদও ওর সঙ্গে গিয়েছিল।’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে অন্য এক হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার পর তিনজন ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন। ফিরছিলেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের হোটেলে। হঠাৎ দ্রুতগতিতে আসা এটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মইনুল এবং তানিয়ার।

বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয় সূত্রে খবর, অফিসিয়াল সমস্ত বিষয় মিটে গিয়েছে। আগামীকাল রোববার সকালেই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হবে মইনুল-তানিয়ার মরদেহ।

সাইফুল এ দিন বলেন, ‘কাল সকালে ভাইয়ের দেহ বেনাপোল থেকে নিয়ে সোজা ঝিনাইদহে আনা হবে। এখানেই হবে দাফন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here