খুলনাঃ

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সর্বশেষ শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার সাত জনে। এর মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফেরদৌসী আক্তার জানান, ১ জুলাই থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগে ৯ হাজার ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪১৯ জন বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ৮ হাজার ১২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪৬০ জনকে বিভিন্ন স্থানে রেফার করা হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৩৮ জন, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক হাজার ৩১৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাটে ২৯৮ জন, সাতক্ষীরায় ৮৩৮ জন, যশোরে তিন হাজার ১৬৯ জন, ঝিনাইদহে ৫৫৩ জন, মাগুরায় ৪৪৮ জন, নড়াইলে ৪৮০ জন, কুষ্টিয়ায় এক হাজার ৩১২ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৩০ জন, মেহেরপুরে ২২৬ জন আক্রান্ত হন। এখনও খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে তিন জন, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭৮ জন, বাগেরহাটে চারজন, সাতক্ষীরায় ৩৪ জন, যশোরে ১৭৪ জন, ঝিনাইদহে ২৮ জন, মাগুরায় ১৫ জন, নড়াইলে ১০ জন, কুষ্টিয়ায় ৬৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় দুজন ও মেহেরপুরে সাতজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি জানান, ৪ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন, সাতক্ষীরায় ৫ জন, যশোরে ৩৪ জন, ঝিনাইদহে দুজন, মাগুরায় একজন, নড়াইলে দুজন, কুষ্টিয়ায় ১৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় একজন ও মেহেরপুরে ছয়জন রয়েছে।

ডা. ফেরদৌসী আক্তার জানান, ডেঙ্গুরোগী শনাক্তের জন্য খুলনা বিভাগে পর্যাপ্ত কিটস মজুদ রয়েছে। এ বিভাগের ১০ জেলায় ১৬ হাজার ছয়শ’টি কিটস মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় তিন হাজার ২৫৬টি, বাগেরহাটে ৭৩৪টি, সাতক্ষীরায় ৬৫৭টি, যশোরে দুই হাজার ৪৩১টি, ঝিনাইদহে দুই হাজার ৬৬১টি, মাগুরায় ৯৫৪টি, নড়াইলে ৯৯৩টি, কুষ্টিয়ায় ৪১৯টি, চুয়াডাঙ্গায় দুই হাজার ৬৭২টি ও মেহেরপুরে এক হাজার ৮২৩টি।

এই কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১৫ জন, যশোরে চারজন, কুষ্টিয়ায় দুজন, সাতক্ষীরায় দুজন, মাগুরায় একজন, মেহেরপুরে একজন ও ঝিনাইদহে দুইজন রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here